দেবালয়ের পূজা পুনর্মিলনী ও মন্দির পুনর্নির্মাণ প্রকল্প ভিশন ২০২৫-এর আয়োজন
- By Jamini Roy --
- 21 January, 2025
গত রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, একটি মনোমুগ্ধকর অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল দেবালয় মন্দিরে, যেখানে পূজা পুনর্মিলনী এবং মন্দির পুনর্নির্মাণ প্রকল্প “ভিশন ২০২৫”-এর উদ্বোধন করা হয়। প্রবাসী সমাজের সদা হাস্যময় ও সাংস্কৃতিক মনস্ক ব্যক্তিত্ব বাবু উৎপল চৌধুরী সঞ্চালনায় এবং দেবালয় পরিবারের সার্বিক সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এদিনের অনুষ্ঠানটি ছিল বিশেষ কারণ, অনুকূল আবহাওয়া না থাকলেও প্রবাসী ভক্তদের উপস্থিতি এবং মন্দির পুনর্নির্মাণ প্রকল্পে তাঁদের সহযোগিতার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি সত্যিই প্রশংসনীয়। অনুষ্ঠানটি শুরু হয় মন্দিরের প্রধান পুরোহিত বাবু দ্বীপঙ্কর মুখার্জি মহাশয়ের পৌরহিত্যে, যেখানে প্রবাসের দুই বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, ড. দ্বিজেন ভট্টাচার্য এবং ড. দিলীপ নাথ উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি শুভ সূচনা হয়।
এরপর, অনুষ্ঠানটির মূল অংশ শুরু হয় প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে। এতে অংশগ্রহণ করেন প্রবাসের আরো অনেক গুণীজন, যেমন: ভোলানাথ ঘোষ, বিষ্ণু গোপ , শ্যমল কর, ধ্রব চক্রবর্তী, ইন্দ্রজিত সরকার, তাপস সাহা, ড. কল্যাণী ধর, পূজা মিত্র এবং বিষ্ণু সাহা। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে তারা দেবালয় পুনর্নির্মাণ প্রকল্পে একত্রে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
পরবর্তী অংশে, এই প্রবাসের অন্যতম তবলা ও অক্টোপ্যাড বাদক, আমাদের প্রিয় দুই সহোদর রাকেশ ব্যানার্জি এবং চন্দন ব্যানার্জির সহযোগিতায় (যন্ত্রে) এবং দেবালয়ের উদীয়মান শিল্পী সবিনাস রায়ের পরিচালনায়, দেবালয় পরিবারের অন্যান্য ভক্তদের সাথে মিলে একটি সুন্দর প্রার্থনা সংগীত পরিবেশন করা হয়, যা অনুষ্ঠানটির প্রথম পর্বের সমাপ্তি ঘোষণা করে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে, প্রবাসের এক পেশাদার কথা বাচক ও ভাগবত বক্তা, শ্রদ্ধেয় শ্রী নৃপেন ধর মহাশয় মন্দির পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি প্রবাসী সমাজের মধ্যে ধর্মীয় সচেতনতা এবং একতার গুরুত্বও বর্ণনা করেন।
এছাড়া, পরবর্তী সময়ে নিমন্ত্রিত অতিথিরা তাঁদের মূল্যবান মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন, যা প্রকল্পটির সফল বাস্তবায়নের জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানটি শেষ হয় শিল্পী তমা চক্রবর্তীর মনোমুগ্ধকর গানের পরিবেশনার মাধ্যমে, যা উপস্থিত সবাইকে এক ভিন্ন অভিজ্ঞতায় ডুবিয়ে দেয়।
এই অনুষ্ঠানটি শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছিল না, বরং প্রবাসী সমাজের একতা, বিশ্বাস এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার একটি অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকলো